বয়সের বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত ইচ্ছে মতো আসামির বয়স নির্ধারণ থেকে পুলিশকে বিরত থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। খুলনার প্রদীপ দে হত্যা মামলার এক আসামির জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে আসামির বয়স হেরফেরের বিষয়টি নজরে এলে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ দে ওরফে পাদুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে শাকিব হাওলাদার ও শামীম মোড়ল নামের দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে শাকিব হাওলাদার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানিকালে আদালত নথিপত্রে দেখেন, গ্রেফতারের পর পুলিশের দেয়া ফরোয়ার্ডিংয়ে জবানবন্দি দেয়ার সময় আসামির বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ২০ বছর। অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ বছর। আর ১৬ বছর প্রমাণ করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের একটি জন্ম সনদ সংযুক্ত করা হয়েছে।পাশাপাশি মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে চার আসামির বয়সই পরিবর্তন করে ১৬’র নিচে দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল হোসেনকে তলব করেন আদালত। এর পরিপ্রিক্ষেতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এসআই রাসেল হোসেন হাইকোর্টকে জানান, জন্ম সনদ অনুযায়ী আসামি শাকিব হাওলাদারের জন্ম ২০০৪ সালের ২ মার্চ, সেই হিসাবে তার বয়স ১৬ বছর দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া ব্যাখ্যার পর পুলিশের ফরোয়ার্ডিং ও জবানবন্দি দেয়ার সময় উল্লেখ করা বয়সের কথা তুলে ধরে নির্দেশনাটি দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, প্রদীপ দে ওরফে পাদু খুলনার হরিণটানার জয়খালী গ্রামে একটি হাঁসের খামারের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।খামারটির হাঁস চুরি করতে গিয়ে প্রদীপকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রেফতার শাকিব হাওলাদার ও শামীম মোড়ল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে চার জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে দেখানো হয়েছে অভিযোগপত্রে ।
এমকে