মদ-জুয়ার আসর নিয়ে সংসদে ক্ষোভ

১৮ জুন ২০২১

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে মদ ও জুয়ার আসর নিয়ে  জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। চলমান বাজেট অধিবেশনে বৃহস্পতিবার পয়েন্ট অব অর্ডারে  চিত্রনায়িকা পরীমণির ঘটনার সূত্র ধরে এ নিয়ে কথা তোলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।এরপর আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্য দলের সংসদ সদস্যরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর মদের অনুমোদন নিয়ে পরস্পরের ওপর দোষারোপ করায় সরব হয় ওঠে  সংসদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

মুজিবুল হক চুন্নুর বাইরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিএনপির হারুনুর রশীদ, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এবং বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ ।

রাজধানীর কয়েকটি ক্লাবের নাম উল্লেখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এসব ক্লাবে  জুয়া খেলা হয়। গ্যালন গ্যালন মদ বিক্রি হয়। দেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে, লাইসেন্স নিয়ে খেতে হলে এতো মদ বিক্রি হওয়ার কথা নয়। সরকারি কর্মকর্তারা এখানে কীভাবে সদস্য হয়?  তিনি বলেন, গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়। সেখানে ড্যান্স হয়, মদ খাওয়া হয়। এসব বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন চুন্নু।

শেখ সেলিম ফ্লোর নিয়ে বলেন,  বঙ্গবন্ধু মদ-জুয়ার লাইসেন্স বন্ধ করে দিলেও জিয়াউর রহমান আবার চালু করেছিলো। জিয়াউর রহমান স্টিমার ক্লাব করেছিলো। যারা অপরাধের শুরু করেছে, তাদের আগে বিচার করা উচিত।

এ সময় বিএনপির হারুনুর রশীদ স্পিকারের মাধ্যমে ফ্লোর নিয়ে বলেন, বাংলাদেশে অনেক বিদেশি থাকেন। অন্য ধর্মের মানুষদের জন্য, ডোমদের জন্য মদের বৈধতা আছে। কোনো মুসলমানের জন্য আইনে অনুমতি নেই। মুসলমানকে জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন- প্রমাণ করতে পারলে সদস্য পদ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন হারুনুর রশীদ।

চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, এসব ক্লাবে মদের ব্যবসার সঙ্গে সরকারি লোক জড়িত। পুলিশ এসব জায়গা থেকে টাকা নেয়। প্রধানমন্ত্রী কোনও দলের নয় উল্লেখ করে বলেন, উনি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। এসব খুঁজে দেখা হোক। হারুনের বক্তব্যের পর শেখ সেলিম ফের ফ্লোর নেন। বলেন, লাকী খানের ঝাকি নাচের কথা কী ভুলে গেলেন?  সরকার কোনো মুসলমানকে মদের পারমিশন দেয়নি। বন্ধ করতে গেলেই আপনারাই চিল্লাচিল্লি করবেন। বলবেন, ফরেনারদের পারমিশন লাগবে। বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান বলেন, ২১ বছরে আইনকে মিসইউজ করে এটা করা হয়েছে, বিদেশিদের অ্যারেঞ্জমন্টের জন্য। ক্লাবগুলোতে দৈনিক মদ খেতে একজন ডাক্তার দিয়ে সার্টিফিকেট নেয় হয়। তারপর লাইসেন্স নেয়া হয়। বিএনপি এ লাইসেন্স দিয়েছিলো। এখন কোনো মুসলমান  মদ খেলে সরকারের কিছু করার নেই।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর