গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।চলতি বছর শেষ হতে সপ্তাহের বেশির সময় বাকি থাকতেই এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়ে ধারণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তাদের মতে এবার এ প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে করোনার মাঝেও প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জন্য প্রথমে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ দশমিক ২ শতাংশ ঠিক করলেও করোনার কারণে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়। পরবর্তীতে সেটা আরো কমিয়ে বাজেটে এ প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এদিকে ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং ২০২১: সাউথ এশিয়া ভ্যাকসিনেটস’ প্রতিবেদনে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দেয় বিশ্বব্যাংক। মার্চে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের আগে জানুয়ারিতে প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছিল করোনার কারণে এ প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
অন্যদিকে, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংক মনে করছে, করোনার কারণে প্রবৃদ্ধি এতো হবে না, হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির অর্জন স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি এবং তৈরি পোশাকের রফতানির ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে।
এমকে