সারা বছরই কমবেশি মারা যায়, তবে বেশি মারা যায় বর্ষাকালে।পানিতে ডুবে শিশুদের এ মৃত্যু ঠেকাতে কমপক্ষে চারটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। এ উদ্যোগই বাঁচাতে পারে হাজারো শিশুর প্রাণ। আর এ উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিলেন খোদ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার এ ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল গণস্বাক্ষরতা অভিযান।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয় ও সার্বিক সহায়তার প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, শুধুমাত্র সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এককভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তার মন্ত্রণালয়ের একক উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি জানান, শিশুদের সুরক্ষায় সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ৩ লাখ শিশুকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো ২ লাখ ৮০ হাজার শিশুর প্রশিক্ষণ চলমান আছে। শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজও চলমান আছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জানান, কয়েকটি জেলায় সরকার ও দাতা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পাইলট ভিত্তিতে কিছু কিছু কাজ হচ্ছে। শিশু সুরক্ষার জন্য সারা দেশে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণে এ বিষয়ে ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) প্রণয়ন করা হয়েছে।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী। বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক, সিআইপিআরবি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতা সংস্থা গ্লোবাল হেল্থ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের সহযোগিতায় এ ওয়েবিনার হয়। উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য ফজলে হাসান বাদশা, ড. মনজুর আহমদ, সেলিনা হোসেন, বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) পরিচালক ড. আমিনুর রহমান,এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা।
এমকে