আগের দিন শুক্রবার বলা হয়েছিল সোমবার থেকেই শুরু হবে কঠোর লকডাউন, শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। কিন্তু শনিবার জানানো হলো- সোমবার নয়, ‘সর্বাত্বক’ লকডাউন শুরু হবে বৃহস্পতিবার, প্রজ্ঞাপন জারি হবে রোববার।তবে সোমবার থেকেই শুরু হবে সীমিত পরিসরের ‘লকডাউন’।

শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সভায় লকডাউন বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ার কারণে এ পরিবর্তন বলে জানা গেছে সভা সূত্রে। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতেই সারা দেশে সর্বাত্বক লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

শনিবার তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, বিধিনিষেধ (‘লকডাউন’) শুরু হবে সোমবার থেকেই। কিন্তু সর্বাত্বক লকডাউন শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে, সাতদিন বলবৎ থাকবে। এর আগে শুক্রবার সরকারের তথ্যবিবরণীতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল।

এদিকে লকডাউন কার্যকরের আগেই সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে যাবে গণপরিবহন। আর সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে কিছু প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে লকডাউন চলাকালে খোলা থাকতে পরে শিল্প কলকারখানা। ব্যাংকিং সেবাও খোলা রাখা হতে পারে রপ্তানিমুখী কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে।

তথ্যবিবরণীটিতে বলা হয়েছিল, লকডাউনকালে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে সরকারি বেসরকারি সব ধরনের অফিস। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। একই দিন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সোমববার থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হবে। শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরপর প্রয়োজন হলে সেটা বাড়ানো হবে। এবারের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে পুলিশ-বিজিবি। এমনকি সেনাবাহিনীকেও মাঠে নামানো হতে পারে। মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না, অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে।

এমকে