মাদক চোরাচালান ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেছেন, মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। শনিবার  মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও চোরাচালান বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো মাদকদ্রব্য উৎপন্ন হয় না। পাশের দেশ ও অন্যান্য মাদক উৎপাদনকারী দেশের উৎপাদিত মাদক পাচার হয়ে আমাদের দেশে আসে। তাই সরকার অবৈধ মাদক পাচার রোধে  ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মাদক সংক্রান্ত অপরাধ দমনে আইনকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংবিধানের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ অনুচ্ছেদে “জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা” শিরোনামে অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে মাদকদ্রব্যের প্রসার প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। মাদকাসক্তদের সুচিকিৎসা ও তাদের পুনর্বাসনে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন।  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাজে আরো গতিশীলতা আনতে অধিদফতরকে শক্তিশালী করা হয়েছে।

মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে দুর্বার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমাজের একশ্রেণির অর্থলিপ্সু মানুষ দেশের সহজ সরল মানুষের বিশেষ করে কোমলমতি শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ও যুবকদের বিভ্রান্ত করে তাদের হাতে মাদকদ্রব্য তুলে দিচ্ছে। তাই মাদক প্রতিরোধে  এ আন্দোলনে সমাজের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

 এমকে