পটুয়াখালী সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর বাউফলে অন্যের প্রেমিকা বিয়ে এবং বিয়ের একদিন পরই তালাকের ঘটনায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ সাত জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার প্রেমিক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ আল ইমরান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামাল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলে পটুয়াখালী জেলা পিবিআই প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে প্রেমিকার জন্ম সনদ ও রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে রোববার এ ঘটনা তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দৃষ্টিগোচর হলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ (ভার্চুয়াল ) রুলসহ এ নির্দেশ দেন। রমজান কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের বাসিন্দা, তার প্রেমিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
প্রসঙ্গত, এ যুগলের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে তাদের পরিবারে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে চুনারপুল বাজারে শুক্রবার (২৫ জুন) শালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে পছন্দ হওয়ায় চেয়ারম্যান শাহিন নিজেই সেই প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং বিয়ে করেন। এদিকে সালিশে গিয়ে নিজের প্রেমিকাকে হারানোর ঘটনায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রমজান। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে বিয়ের ২৪ ঘণ্টার পরেই নবদম্পতির মধ্যে তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটে।
সুনান বিন মাহাবুব/এমকে