কুমারখালীতে পাওয়া যাচ্ছে না ‘নাপা’

২৯ জুন ২০২১

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
কুমারখালীতে করোনার সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় ওষুধের দোকানগুলোতে (ফার্মেসী) জ্বরের ওষুধ ‘নাপা’ (প্যারাসিটামল) পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুরুতে শুধু শহরে সংক্রমণের হার বেশি থাকলেও বর্তমানে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনা।


সোমবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার পর উপজেলা রোডের এক ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতে আসেন নন্দলালপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, এক পাতা নাপা (প্যারাসিটামল) ওষুধ কিনতে এসেছেন। অনেকগুলো ফার্মেসি ঘোরাঘুরি করেও পাননি।উপজেলার মাঠ পাড়ার বাসিন্দা মাসুদ জানান, গত শুক্রবার তিনি বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসী ঘুরেও ১ পাতা নাপা কিনতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়ে স্কয়ারের ‘এইচ’ কেনেন।


পৌরবাজারের হাজী ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী খন্দকার আলহাজ্ব রেজাউল করিম ভাসানী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বেক্সিমকো গ্রুপের নাপার সাপ্লাই বন্ধ রয়েছে। উপজেলা ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মানিক মোহাম্মদ হিরো বিশ্বাস বলেন, বেক্সিমকো কেম্পোনির বিক্রয় প্রতিনিধিরা ওষুধ না দেয়ার কারণে নাপা (প্যারাসিটামল) ফার্মেসীতে নেই। তবে অন্য কম্পানির ওষুধ রয়েছে। কোনো ফার্মেসীতে কেউ ঔষধ মজুদ করছে না বলেও দাবি করেন তিনি।বেক্সিমকোর কুমারখালী প্রতিনিধি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মার্কেটে নাপা (প্যারাসিটামল) গ্রুপের ওষুধ সংকট রয়েছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দিন বলেন, বেক্সিমকোর নাপা জাতীয় ওষুধ ফার্মেসিতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বারবার উপদেশ দেয়ার পরও জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত লোকজন করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা পরীক্ষা না করে বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে নিজেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে করোনার সংক্রমণ উপজেলার ছড়িয়ে যাচ্ছে।


কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, করোনা মহামারিতে কোন ফার্মেসী ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেতে পারবে না। এ জন্য বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ওষুধের অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগ পেলে ওই ফার্মেসী মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


মাহমুদ শরীফ/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর