দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ২৯ জুন নিজের ফেসবুকে লম্বা একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটিতে তিনি লিখেছেন-
একটা সময় পর্দায় লেখা হতো…
সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ বা হুমায়ুন আহমেদের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ বা মামুনুর রশীদের নাটক বা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ বা সালাউদ্দিন লাভলু’র নাটক। ব্লা ব্লা ব্লা। এ রকম মেনে নিতে আপত্তি নেই। কারন যার লেখা, তারই ডিরেকশান হলে এটা লেখা যায়। কিন্তু ইদানীং দেখি, দেশি বা বিদেশি ওটিটি প্লাটফর্মগুলোতে শিল্পীর নামে লেখা হয়, অমুকের নাটক বা ওয়েব সিরিজ। যেহেতু শিল্পীদেরকেই দর্শকরা বেশী চেনেন, সেই ব্যবসায়িক সুযোগটা নেবার জন্য এরকম লেখা হচ্ছে।
এবার বলুন তো, একটি নাটক বা সিনেমার মালিকানা কার? আসলে প্রডিউসারের। প্রচারের স্বার্থে যদি ডিরেক্টরের নাম যায়, তাও মেনে নেয়া যায়। যেমন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমা ‘মনপুরা’ বা অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’। কিন্তু যদি লেখা হয় চঞ্চল চৌধুরীর ‘তাকদীর’। আমি বলব, এটা ঠিক নয়। ‘তাকদীর’ সৈয়দ শাওকী’র বা হৈ চৈ এর। আমি এতে অভিনয় করেছি মাত্র। লিখলে এটুকুই লিখবেন, চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ’তাকদীর’।
আর স্ক্রিপ্ট রাইটারদের কথা কি বলব? তারা তো সর্বদাই অবহেলিত। যার যার প্রাপ্তি তার তার হোক। নাম বেচা বন্ধ হোক। স্টারের নাম ভাঙিয়ে প্রোডাকশন বিক্রি বা প্রচার বন্ধ হোক। নাটক বা সিনেমা টিম ওয়ার্ক। এটা মনে রাখলেই চলবে।