করোনায় দেশের অর্থনীতিতে আনুমানিক এক হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।এ সময় অর্থনৈতিক অভিঘাত থেকে উত্তরণে ১৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে সরকার।চলমান বাজেট অধিবেশনে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদকে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
করোনার ধাক্কা সামলে বাংলাদশ সামনে এগিয়ে যাবে- আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন. দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। অর্থনীতির ওপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও করোনার সময়ে অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সময়োচিত নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। মানুষের জীবন-জীবিকাকে প্রাধান্য দেয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে তার সরকার।
করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে ঋণ সহায়তা পাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সহায়তা পাওয়া সহজ হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশকে বিপুল বৈদেশিক সহায়তা প্রদানের জন্য সব উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ শেখ হাসিনা। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে করোনার ধাক্কা সামলাতে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনসহ উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাজেটে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও জীবন-জীবিকা সুরক্ষা ও মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে ওঠার ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এমকে