দেশব্যাপী এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হলেও স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি আমলে নেয়া হচ্ছে না বলেই মনে করেন বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)। বলেছেন, দুর্নীতি কমানোর জন্য কোনো কার্যকর উদ্যোগও চোখে পড়ে না। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য খাত প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন।এর আগে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, দেশবাসী আশা করে এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে যথাযথ তদন্ত হবে ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা, জিডিপির হিসাবে ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ। বাজেটে করোনার টিকা প্রয়োগের কথা বলা হলেও আমদানির জন্য এ খাতে আলাদা কোনো অর্থ বরাদ্দের উল্লেখ নেই।
জাতীয় পার্টির এ সংসদ সদস্য বলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা গেলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। অথচ আমাদের দেশে ভ্যাকসিন সংগ্রহ এখন পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিত বলা যায় না। আর ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ পুনরায় শুরু ও শেষ কীভাবে ও কবে হবে- কেউ জানে বলেও মনে হয় না। তিনি বলেন, দেশে করোনার টিকা উৎপাদনে সরকারি সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে উদ্যোগটি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এমকে