অপহরণ মামলা রুজুর ৮ বছর পর জামালপুরের মেলান্দহে ভুক্তভোগী এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আদালতের মাধ্যমে তদন্তভার ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের নির্দেশনা পাওয়ার দেড় মাসের মাথায় গত ২০ মে জেলার তেলীপাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৪ এপ্রিল স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশনাটি দেন জামালপুরের বিজ্ঞ আদালত। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার না করেই পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়ায় দীর্ঘদিন পর এ নির্দেশনা দেয়া হয়।উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শরীফ উদ্দিন ভুইয়া।ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে ম্যানুয়েল ইন্টেলিজেন্স ও উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকায় ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ করেননি সংশ্লিষ্টরা। ২০১৩ সালের পহেলা ফ্রেবুয়ারি থানায় মামলাটি করেন মেলান্দহের এক নারী।
মামলায় বলা হয়, নিজেদের বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে বাদীর নবম শ্রেণীর পুড়য়া মেয়েকে (১৪) স্থানীয় হাজরাবাড়ী এলাকা হতে সিএনজিযোগে অপহরণ করে আসামিরা। মামলার পরে প্রধান আসামি আমীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।এদিকে মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরেরই ৩১ মে দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সিআইডি জামালপুরের ইনচার্জ ও সহকারি পুলিশ সুপার এস. এম. মনসুর মূসা জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর ভুক্তভোগীকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়। এর আগে তার মেডিকেল পরীক্ষা ও বয়স নির্ধারণ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং ২০০৩) এর ২২ ধারা মোতাবেক ভিকটিমের জবানবন্দি বিজ্ঞ আদালতে রেকর্ড করার পর তাকে আইনানুগ অভিভাবকের কাছে জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, যথাযথভাবে তদন্তের মাধ্যমে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন শেষে খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দেয়া হবে।
এমকে