ভোলা প্রতিনিধি
চলমান সাত দিন মেয়াদের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে ভোলায় আগের দু’দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে মানুষের চলাচল।এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে অব্যাহত ছিল পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আনসার সদস্যদের তৎপরতা। এদিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৮ জনকে জরিমানা করা হয়।
মানুষের চলাচল বাড়লেও পুলিশের তল্লাশি পেরিয়েই বাইরে বের হতে হয়েছে সবাইকে। সকাল থেকেই জেলা শহর ও উপজেলা শহরগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে দেখা গেছে লকডাউন বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টদের। চেকপোস্টে তল্লাশি ছিল। সড়কে মোটরসাইকেলে দু’জন দেখলে তাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে। সড়কে কোনো গাড়ি কেন বের হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে। কেউ আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। অলিগলি,পাড়া ও মহল্লায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড় দেখা গেছে। কিছু কিছু এলাকায় অটো বোরাক ও রিকশার সংখ্যা ছিল বেশি। কম ছিল ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল।বৃষ্টি কম থাকায় মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার কথা বলেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুফ হাসান জানান, কঠোর বিধিনিষের অমান্য করায় ১১ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শনিবার ভোলার সাত উপজেলায় ৭৫ টি মামলায় ৭৮ জনকে ৬০ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় প্রথম দিনে ১০৪ জনকে জরিমানা ও ২ জনকে কারাদণ্ড এবং দ্বিতীয় দিনে ১৮৩ জনকে জরিমানা ও ৩ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে