চলমান কঠোর বিধিনিষেধকালে (লকডাউন) প্রধান সড়ক ও শহরের কেন্দ্রবিন্দু প্রায় জনশূন্য থাকলেও অলিগলিতে ঠিকই আড্ডা চলছে।স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিদ্যমান রয়েছে পাড়া-মহল্লায়। আড্ডাকালে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরুত্ব, মাস্ক থাকছে না মুখে।চায়ের দোকানগুলোতে চা পানের পাশাপাশি আড্ডা চলছে কিছুটা কৌশলে। তবে লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়োজিত সেনাবাহিনী, বিজিবি ও সরকারের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল আঁচ করতে পারলে দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে, ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে অলিগলিও। উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়া করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ১ জুলাই থেকে ৭ দিন মেয়াদের এ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সাত দিনে খুবই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ও জরুরি পরিষেবা সংশ্লিষ্টরা ছাড়া বাকিদের বাড়ির বাইরে বের হতে একদম নিষেধ করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ আছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস।
এদিকে লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের তুলনায় তৃতীয় দিন শনিবার মানুষের চলাচল বেড়েছে। আগের দুই দিনের মতো বেশ ফাঁকা ছিল প্রধান সড়ক। ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ ও কিছু প্রাইভেট যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহন চলতে দেখে যায়নি। রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশের পরিস্থিতিই এ রকমই ছিল।
অন্যদিকে টহলের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে চালানো হয়েছে তল্লাশি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানা এবং গ্রেফতারও করা হয়েছে।তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে চলাচল করতে পেরেছেন। লকডাউন অমান্য করায় রাজধানী থেকে ৬২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ৩৪৬ জনকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। গ্রেফতার ও জরিমানার তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
এমকে