রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
নির্মাণের দুই বছরের মাথায় তিন অংশ ভেঙে যায়, ভাঙা অংশগুলো আটকে রাখা হয়েছে জিআই তার দিয়ে বেঁধে! আর বিকল্প পথ না থাকায় ঝঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন এ ব্রীজ দিয়েই যাতায়াত করতে হয় দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষকে।ব্রীজটির অবস্থান পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর পূর্ব বাহেরচর ও হরিদ্রখালী গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গহিনখালী খালের ওপর। ব্রীজটির এক পাড়ে আছে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন, অন্যপাড়ে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) দেয়া তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলজিএসপি থেকে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, একটি ফিশিং বোটের ধাক্কায় ওই তিন অংশ ভেঙে যায়। এর পর থেকেই ব্রীজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যানবাহন তো দূরের কথা, পথচারী পারাপারেও কেঁপে ওঠে। গহিনখালী গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসাইন বলেন, ‘ব্রীজটি এমনেতেই অনেক উচুঁ। তার মধ্যে আবার এখন ভাঙা। প্রতিদিনি ব্রীজ পারাপার হতে গিয়ে এক-দুইটা দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। তাই পরিকল্পিতভাবে এখানে জনস্বার্থে একটি ব্রীজ নির্মাণ প্রয়োজন।’ ব্রীজটি পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল চালক নিশাত মিয়া বলেন, ‘যাত্রী নামিয়ে একা গাড়ি চালিয়ে ব্রিজে উঠতে হয়। গাড়ি নিয়ে উঠলে থরথর করে কাঁপতে থাকে।’
ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে দ্রুত ওইখানে একটি টেকসই ব্রীজ নির্মাণ প্রয়োজন।’ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘অনুর্ধ্ব একশ’ মিটার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে ওই ব্রিজ অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে ব্রীজটি পুননির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
সাব্বির হোসাইন/এমকে