বন্ধ রমনা পার্ক, ভোগান্তিতে প্রাতঃভ্রমণকারীরা

০৬ জুলাই ২০২১

রমনা পার্ক, প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য একটা পরিচিত নাম। মন্ত্রীপাড়ার বাসিন্দা, বড় বড় আমলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও বিশিষ্টজনেরা নিজেকে ‘ফিট’ রাখতে সাতসকালেই আসেন রাজধানী ঢাকার এ পার্কে। কিন্তু কঠোর লকডাউনে পার্কটি বন্ধ রাখায় বিপাকে আর ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। বাধ্য হয়েই রাস্তায় করছেন প্রাতঃভ্রমণ, সঙ্গে শরীর ফিট রাখার ব্যায়াম। বাণিজ্যক বিনোদন কেন্দ্র না হলেও লকডাউনের আওতায় পার্কটি বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে তাঁদের মাঝে।

 

&dquote;&dquote;

 

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, বিনোদন কেন্দ্র ও পার্ক বন্ধ রাখতে। কিন্তু পদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, রমনা পার্কটি এ বিধিনিষেধের আওতায় পড়ে না। তাছাড়া এখানে যারা প্রাতঃভ্রমণে আসেন, তাঁরা একদিকে যেমন স্বাস্থ্য সচেতন, অন্যদিকে তেমনি রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন বিষয়েও সচেতন। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাঁরা এখানে আসেন। প্রাতঃভ্রমণ ও ফিট রাখার ব্যায়াম করেন সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখেই।কাজেই পার্কটি বিধিনিষেধের আওতায় বন্ধ করা ঠিক হয়নি।

জানা গেছে, এ পার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসা অনেকেই ভুগছেন অনিরাময়যোগ্য রোগ ডায়াবেটিকসে। পার্কটি বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। কারণ, ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত হাঁটা অন্যতম পথ্য। সুশৃঙ্খল খাদ্যাভাসের পাশাপাশি নিয়মিত ও নির্দিষ্ট পথ হেঁটে চলায় নিয়ন্ত্রণে থাকে রোগটি।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে দেখা গেছে, পার্কটি বন্ধ করে দেয়ায় পার্ক সংলগ্ন সড়কে হাঁটছেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা।সড়কেই সারছেন ব্যায়াম। তাঁরা পার্কটি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর