জনতার ধাওয়ায় পালালেন এসপি, আটক বডিগার্ড !

০৬ জুলাই ২০২১

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা

‘এসপি স্যার আসছে। এখনো দোকান খোলা। ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেন।’ শহরতলীর এলংগী ক্লিকমোড় এলাকার মুদি দোকানি রিয়াজ মুন্সী তার দোকানে আগন্তুক লোকের এমন কথা শুনেই ভড়কে যান। টাকা না দেয়ায় শুরু হয় কিল-ঘুষি, অগত্যা এক হাজার টাকা তাদের সামনে ধরলে রক্ষা পান। একইভাবে পাশের মাছের ব্যবসায়ী শাজাহানের কাছে থেকেও ৫০০ টাকা আদায় করেন। এরপর ক্লিকমোড় থেকে আধা কিলোমিটার দূরের আসাদুল স্টোরে যান তারা। সেখানে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দোকানিকে দুই হাজার টাকা ‘জরিমানা’ করেন।

ততক্ষণে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় থানায় খবর নেয়া হয়। জানা যায়, এসপি’র কোনো কর্মসূচি-ই নেই এ থানায়। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরেই তাদের ধাওয়া দেন স্থানীয়রা। এ সময় ভূয়া এসপি পালিয়ে যেতে পারলেও জনতা ধরে ফেলেন তার বডিগার্ডকে। ঘটনাটি ঘটে লকডাউনের ৫ম দিন সোমবার সন্ধায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে।

আটকরা হলেন- সদর থানার কালিশংকরপুর এলাকার মৃত নিয়ামতের ছেলে মোঃ শরিফ (৪৫) ও চর মিলপাড়ার আনন্দ চন্দ্র দাসের ছেলে রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৩৫)। শরিফকে এসপি হিসেবে আর নিজেকে এসপির বডিগার্ড পরিচয় দেন রবীন্দ্র চন্দ্র দাস। আটকের পর তাদের পুলিশে দিয়েছেন জনতা।

কঠোর লকডাউনের মধ্যে কুষ্টিয়ায় বেলা একটা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দোকান খুলে রাখার নির্দেশনা রয়েছে।এ সুযোগে অভিনব কৌশলে চাঁদাবাজির এ পথ বেছে নেয় তারা , ঘটনাস্থলে আসেন মোটরসাইকেলে।

কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। কথিত বডিগার্ডকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পলাতক ভুয়া এসপিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ার এসপি খাইরুল ইসলাম কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

মাহমুদ শরীফ/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর