যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘ভালো’ না হওয়ায় বর্ষাকালসহ ছয় মাস উপজেলা সদরে আসা-যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের দুর্গম ফতেহপুর ইউনিয়নবাসীকে, বিশেষত প্রসূতিদের। এ কারণেই ঠিকঠাক মতো স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা। তাদের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করেই চালু করা হয়েছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স মাতৃসেবা তরী। একটি বেড, চিকিৎসা কিট, অক্সিজেন সিলিন্ডার সংযুক্তসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকা এ অ্যাম্বুলেন্স তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেতে ভূমিকা রাখবে, পাশাপাশ আগের ভোগান্তিও কমাবে - এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার অ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার আগে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জাদীদ।জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় ওই ইউনিয়নের প্রসূতিদের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত দূর্ভোগের কথা তুলে ধরেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।এরপর নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি তৈরি করা হয়।
নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর প্রতিক্রিয়ায় বাগগাঁও গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, বর্ষাকালে চারদিক পানি থই থই করে। নৌকার অভাবে স্বাস্থ্যসেবার জন্য মা ও শিশুরা হাসপাতালে যেতে পারেন না। নৌ-অ্যাম্বুলেন্স চালু হওয়ায় এলাকার প্রসূতি মায়েদের উপকার হবে। ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রণজিৎ চৌধুরী রাজন বলেন, ‘ফতেহপুর ইউনিয়নের দুর্গম ৪৮টি গ্রামের প্রসূতি মা ও শিশুরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন।’ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জাদীদ জানান, প্রসূতি মায়েদের জন্য বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসন এবং ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এ নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মনোয়ার চৌধুরী/এমকে