আতঙ্কে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তারা

০৭ জুলাই ২০২১

প্রকাশ্যে এসেছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নের অনিয়ম। ইতোমধ্যেই অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় পাঁচ কর্মকর্তাকে শাস্তিস্বরূপ বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এ খবরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত মাঠের কর্মকর্তাদের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ প্রকল্পের অনিয়ম হয়েছে জেনে হতবাক ও ক্ষুব্দ হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২ শতক জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর দেয়া হয়েছে জমি ও গৃহহীনদের। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ধাপে ধাপে সারাদেশের জমি ও গৃহহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয়ভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পিআইও, এসিল্যান্ড ও উপজেলা প্রকৌশলী। এ ছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও আছেন। এ ৫ জনকে নিয়ে গঠিত কমিটি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি ও জুনে দুই দফায় (আশ্রয়ণ প্রকল্প-১ ও আশ্রয়ণ প্রকল্প-২) প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ঘর উপহার দেয়া হয়। ঘর ও বাড়ি পেয়ে নিশ্চিন্তায় ছিলেন সুফলভোগীরা। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ভেঙে পড়ে ভিটি, ফাটল ধরে মেঝে ও দেয়ালে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের।প্রাথমিক তথ্য নিয়ে বগুড়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, হবিগঞ্জ, সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় ঘর পাওয়া মানুষগুলোর দুর্ভোগের সত্যতা পেয়েছেন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ঘরগুলো নির্মাণের আগে স্থানীয় প্রশাসনকে নীতিমালা হস্তান্তর করা হয়। এ নীতিমালা অনুসরণ করলে এমন অভিযোগ আসার সুযোগ ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন। জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের পদোন্নতি ও ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হবে, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় চাকরি থেকে অব্যাহতিও দেয়া হতে পারে।

এদিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপ-সচিব শফিকুল ইসলাম, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হাসান শিপলু, বগুড়ার শেরপুরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিয়াকত আলী সেখ, বরগুনার আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামান এবং মুন্সীগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন। ৪ ও ৫ জুলাই তাদেরকে ওএসডি করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর