দুশ্চিন্তায় খামারি ও ক্রেতারা

০৭ জুলাই ২০২১

বগুড়া প্রতিনিধি:

করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতে কোরবানির পশু বেচা-কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বগুড়ার খামারি ও ক্রেতারা। আশানুরুপ ও নায্য দাম এবং নিজেদের সামর্থের মধ্যে কোরবানির পশুর সহজপ্রাপ্যতা দুশ্চিন্তার কারণ। জেলায় এবার গরু,মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫টি পশু কোরবানি জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ছোট-বড় গবাদিপশুর খামার রয়েছে ৪২ হাজার।

এদিকে কোরবানির বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও প্রাণি সম্পদ বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে জেলায় মোট ৮৬টি হাটে পশু বেচা-কেনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানা গেছে। খামারিদের চিন্তামুক্ত করতে ইতোমধ্যেই ‘ফেসবুক’এ পশু কেনাবেচার প্লাটফর্ম গড়ে তুলেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর। ‘পশুর হাট, আদমদীঘি, বগুড়া’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ চালু করা হয়েছে, সেখানে উপজেলার খামারিদের যুক্ত করা হচ্ছে। সেই গ্রুপে বর্ণনা ও ফোন নম্বরসহ নিজেদের গবাদিপশুর ছবি আপলোড করছেন খামারিরা।

অন্যদিকে জেলায় এখনো কোরবানি পশুর হাট জমে না ওঠলেও জেলার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, বগুড়া সদর, কাহালু, শিবগঞ্জ, ধুনট, আদমদিঘী উপজেলার খামারিরা কোরবানিযোগ্য পশু হাটে বিক্রির প্রস্ততি নিয়েছেন। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে জেলায় পুরো দমে কোরবানি পশুর হাট জমে ওঠবে। হাট এখনো জমে না ওঠায় পশুর দাম ও বিক্রয় নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পশু পালনকারীরা। অনেকে মনে করছেন, পশুর দাম কমে গেলে অনেক পশু পালনকারী ও খামারীরা লোকসানে পড়বেন। গেল বছরের মতো এবার লোকসান হলে অনেকে পশু পালন ছেড়ে দেবেন। তাই পশুর হাটগুলো যথাসময়ে বসানোর ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে অন্তত ন্যায্য দাম পাবেন এসব পশু পালনকারীরা।

উপজেলার জয়লা গ্রামের খামারি শামীম হোসেন ছোট-বড় মিলে ৫০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। সর্বনিম্ন দাম ৮০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দাম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দামের গরু রয়েছে তার। শামীম হোসেন বলেন, এবার গরু বিক্রি ও লাভ নিয়ে শঙ্কায় আছি। সবচেয়ে ভয় হলো- পশু বিক্রি না করতে পারলে বছরজুড়ে খাটানো টাকার পুরোটাই লোকসান হয়ে যাবে। আবার পরের কোরবানি পর্যন্ত পশু লালন-পালন করতে অনেক টাকা খরচ হবে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, গত বছরের মতো এবারো কোরবানির পশুর সংকট হবে না। খামারিদের পশু বিক্রয় নিয়ে কোনো্ চিন্তা নেই, জেলা প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় মিটিং চলছে। খুব শীঘ্রই জেলায় ৮৬টি পশুহাট বসিয়ে এসব পশু বিক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে।

দীপক কুমার সরকার/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর