মাঝের একদিনের ব্যবধানে করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা একক দিনের হিসাবে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়, মারা গেছেন ২০১ জন। সর্বোচ্চ মৃত্যুর পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরেই টানা শতকের ওপরে করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এ দিকে করোনার বিস্তার ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামান্তরে। জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসাসেবা সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হচ্ছে অক্সিজেন ও বেড সংকটের কারণে।
অন্যদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার হার্ডলাইনে গেলেও চুপসে যায়নি করোনা, সরকার আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) মধ্যেও রীতিমতো আগের চেয়ে বেশি শক্তিতে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মাঠে থাকা সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আটক ও দণ্ড জানান দিচ্ছে- লকডাউন তেমনটা মানছেন না সাধারণ মানুষ, মাঠে লকডাউন বাস্তবায়ন নিশ্চিতে নিয়োজিতদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও নানা কৌশলে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। চলমান তাণ্ডব অব্যাহত থাকলে ও মানুষকে ঘরে ধরে রাখতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি ভয়ারূপ ধারণ করতে পারে বলেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
করোনাকে রুখতে লকডাউন চলাকলে জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের না হওয়া, খুব জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলেও সার্বক্ষণিক মুখে মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখাসহ করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই বলেই বারবার জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যবিভাগ সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ২০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী মারা যায় ৫ জুলাই, ১৬৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর আরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ১৬২ জনের।পাশাপাশি করোনামুক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২।স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৫৯৩ জন। সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২টি। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১।
এমকে