সেজান জুসের কারখানায় অঙ্গার হওয়া শ্রমিকদের বেশিরভাগ-ই শিশুশ্রমিক। বহুতল ভবনের কারখানাটির বিভিন্ন তলায় ঢোকার গেটে তালা লাগানো থাকায় বেড়েছে হতাহতের ঘটনা। প্রশ্ন ওঠেছে কারখানাটির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়েও। মৃতদের অনেকের কয়েক মাসের বেতনও বকেয়া পড়ে আছে। বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কারখানাটি সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের।
বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অধিকাংশ মরদেহ ভবনের একই জায়গায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মোস্তাফিজ গণমাধ্যমকে বলেন, আগুনের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্করাই যেখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন।সেখানে শিশুরা আরো বেশি আতঙ্কিত ছিলো, যে কারণে তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক প্রকাশের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। অন্যদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসে শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, তদন্তকালে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর সত্যতা পাওয়া গেলে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে মৃতদের স্বজনদের সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি। দুর্ঘটনাটি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
এমকে