বেতন ভাতা, বোনাস ও ছুটিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। ঈদুল আযহার আগে গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পারে মহলটি। বিষয়টি আঁচ করতে পারায় এখনই শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বাইরে কোরবানির চামড়া কেনা-বেচা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয়, সে বিষয়েও নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ আশঙ্কার কথা উল্লেখসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান- এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ’র সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের যথাসময়ে ছুটি বেতন ও ভাতা এবং ঈদ বোনাস পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে। একই সঙ্গে শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। শিল্প এলাকায় অগ্নিকাণ্ড বা যে কোনা দুর্ঘটনা রোধে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও শিল্প পুলিশকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। ঈদের আগেই চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দৈনিক পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচারের কথা জানানো হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যানারি শিল্প মালিক সমিতিকে। এ ছাড়া ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলে মারামারি, দাঙ্গা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশকে ।
এমকে