মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নত দেশগুলোর প্রধান বাজারে সরকার কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বলেছেন, উন্নত দেশে ফলমূল ও শাকসবজি রফতানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা দূর করতে গুরুত্ব সহকারেই কাজ করছে সরকার।
শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। এর আগে বন্দরে কৃষিপণ্যের রফতানি সহায়ক বিএডিসির হিমাগার পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী। রফতানি বাধা দূরীকরণের অংশ হিসেবে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু, আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন এবং আম রফতানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলমান থাকার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব থেকে থেকে সনদ দেয়া শুরু হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের রফতানি শুধু গার্মেন্টস নির্ভর থাকলে হবে না, বহুমুখী করতে হবে। তাই কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্যের রফতানি সম্ভাবনা অনেক, এটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে। কৃষিপণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে। কৃষিপণ্য রফতানির জন্য বিমানবন্দরে বিএডিসির হিমাগারের সক্ষমতা আরো বাড়ানো হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমকে