দুই মাস ধরেই সংক্রমণ আগের তুলনায় বাড়ছে, চলতি মাসে বৃদ্ধির হারটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‍উদ্বেগের।কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেও দৃশ্যত মিলছে না ফল। বরং বিধিনিষেধ চলাকালেও মৃত্যু ও শনাক্তের ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই নয়া রেকর্ডের খবর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংক্রমণ আর মৃত্যুর অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখীর এ ধারায় হতাশ সাধারণ মানুষের মাঝে আশা জাগাচ্ছে করোনা প্রতিরোধী টিকা। বিভিন্ন কারণে মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ফের শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। দেশের বাইরে থেকে আসতে শুরু করেছে করোনার টিকা।

আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের ২৯ লাখ টিকা আসবে। আর চলতি মাসের শেষের দিকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় আরো আসবে মডার্নার ৩০ লাখ টিকা। দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা প্রথম ডোজ গ্রহীতারা এ টিকা পাবেন। সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গত ২-৩ জুলাই দেশে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে মডার্নার ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ ডোজ টিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায়। বাকি ২০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা এসেছে চীনের সঙ্গে কেনা চুক্তির আওতায়। সব মিলেয়ে চলতি মাসেই বিভিন্ন উৎস থেকে এক কোটি নয় লাখ টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত ১টায় ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানান, ‘সুখবর। আমাদের জেনেভা মিশন জানিয়েছে যে, কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে আরও তিন মিলিয়ন (ইতোমধ্যে ২.৫ মিলিয়ন পেয়েছি) মডার্না ভ্যাকসিন পাচ্ছি---- শিপমেন্ট রেডি আছে। জাপানিজরা ২.৫ মিলিয়নের পরিবর্তে ২.৯ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন দিচ্ছে।’

তিনি আরো জানান, ‘চায়নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ১৫ তারিখে তাসকন্দে সাক্ষাৎ হবে এবং চায়নিজ সরকার আরো এক মিলিয়ন সিনোফার্ম ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেবে। ‘ইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) থেকে দশ লাখ এবং কোভ্যাক্স’র অধীনে আরও ছয় লাখ বিশ হাজার টিকা আগস্টে আসবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তীতে টিকা সংকটের কারণ দেখিয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর ২ মে থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় টিকার নিবন্ধনও। দ্বিতীয় দফায় গণটিকা কার্যক্রম শুরু আগে ৭ জুলাই থেকে আবারো নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

এমকে