এবার ৪৬ ধরণের শর্তের সুতায় বুনানো বেড়াজালে ঘেরা পশুরহাটে কোরবানির পশু কিনতে হবে রাজধানী ঢাকাবাসীকে। ক্রেতা-বিক্রেতা বা ইজারাদার- সবাইকে এসব শর্ত কঠোরভাবে পালন করতে হবে। শর্ত না মানলে নেয়া হবে ব্যবস্থা, প্রয়োজনে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সহজে কোরবানিপশুর পেতে মহানগরে হাট বসবে মোট ২১টি। অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট ঈদের দিনসহ মোট পাঁচ দিন চালু থাকবে। এ হাটে বিক্রিত পশুর মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হাসিল আদায় করা যাবে। এমনটাই জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখযোগ্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- খোলামেলা জায়গায় হাট বসাতে হবে, হাটে মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখতে হবে, ব্যবস্থা করবেন ইজারাদার। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া যাবে না, এক্ষেত্রে গ্রাহক চাইলে তাকে বিনামূল্যে মাস্ক দিতে হবে। সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা ক্রেতাকে হাটে ঢুকতে দেয়া যাবে না। শিশু ও বৃদ্ধদেরও ঢুকতে দেয়া যাবে না।
একটি পশু থেকে আরেকটি পশুর ক্রেতাদের মধ্যে দূরত্ব রাখতে হবে তিন ফুট । হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পশু ঢোকাতে হবে ও নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দিতে হবে, বাকিরা বাইরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবেন। একটি পশু কিনতে একসঙ্গে দুজনের বেশি হাটে ঢুকতে পারবে না।ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মূল্য পরিশোধের সময় সারিবদ্ধভাবে লাইন দাঁড়াতে হবে।
হাটে ইজারাদারসহ হাট কমিটিকে নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। হাঁচি, কাশির শিষ্টাচার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়ার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মাইকে প্রচার করতে হবে। হাট সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিটির সবাইকে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রতিটি হাটে সিটি করপোরেশনের এক বা একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত, স্বেচ্ছাসেবী মেডিক্যাল টিম গঠন করে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। হাটে একটি আইসোলেশন ইউনিট রাখতে হবে। ক্রেতাদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে হাটে পশু ঢুকানো যাবে না। হাটের আশপাশের সড়ক দিয়ে যাওয়া কোনো পশুর ক্রেতার কাছ থেকে জোরপূর্বক হাসিল আদায় করা যাবে না। সিটি করপোরেশন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে সব কাজ নিশ্চিত করতে হবে।
এমকে