কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের মেয়াদকালে চলাচল করবে সব ধরণের ট্রেন। এ জন্য বেশ কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করে মহাব্যবস্থাপককে (পূর্ব ও পশ্চিম) চিঠি দিয়েছেন রেলওয়ের উপ-পরিচালক (অপারেশনস) মো. রেজাউল হক। কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্তের পরপর এ চিঠি দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৯ দিন কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার।
করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে চলতি মাসের শুরুতেই এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, ঈদ উপলক্ষে এ শিথিলতা। বিধিনিষেধ মেয়াদের শুরুর একদিন আগে (৩০ জুন) থেকে রেলওয়ের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
শিথিলের মেয়াদকালে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হবে না, বিক্রি হবে অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। কমিউটার ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্টারে বিক্রি হবে। প্লাটফরমে ও ট্রেনে যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আন্তনগর ট্রেনের বিক্রিত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না বা ফেরত নেয়া হবে না। স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে কোচের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে।
রাত্রীকালীন ট্রেনে বেডিং সরবরাহে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জারিকৃত সব বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস, বিস্কিট ইত্যাদি) সরবরাহ করা যাবে। ট্রেনে আরোহণ ও অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। কুলি, ট্রলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে কোনো কর্মচারী জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ট্রেনের প্রতিটি কোচ ও ইঞ্জিন চলাচলের আগে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
এমকে