পশুর হাটে বেচাকেনা কম, মানছেন না কেউ স্বাস্থ্যবিধি

১৫ জুলাই ২০২১

কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা:

ভোলায় কোরবানির পশুর হাট বসতে শুরু করলেও বেচাকেনা এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি।হাটে কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত আমদানি ও দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে বেচাকেনা কম বলে জানিয়েছেন ইজারাদার। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় এবং ভারতীয় গরু না ওঠায় ক্রেতা ও গরু বিক্রেতাদের মাঝে সন্তোষ বিরাজ করছে। তারপরও করোনার কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কোরবানি দিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। আর নিজের পশুর কাঙ্খিত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন পশু পালনকারীরা। এ দিকে হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ-ই মানছেন না করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

জেলার পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে- ভোলার হাট, ইলিশার হাট, বাংলা বাজার, ঘুইংগারহাট, কুঞ্জেরহাট, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরা, দুলার হাট, দক্ষিণ আইচা ও শশীভূষনের বিভিন্ন হাট। বেশ কয়েকটি পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে গরু-ছাগলের প্রচুর আমদানি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারা পশুকে বিভিন্ন রঙ ও ঢঙ্গে সাজিয়ে হাটে এনেছেন।

বৃহস্পতিবার কালা পাহার নামে একটি গরু উঠেছিল ভোলার শশীভূষণ হাটে। গরুটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বোরহানউদ্দিনের পশুর হাটে গরু বিক্রেতা হেলাল জানান, গরুর দাম গতবারের চেয়ে একটু কম। পশুর খাদ্য ও পরিবহন খচর বেশি, কিন্তু দাম কম থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। দাম ভালো না হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

চাকুরিজীবী মনির আহমেদ, ব্যবসায়ী রিটু ও হাসানসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, সবাই চায় গরু কোরবানি দিতে, কিন্তু করোনায় আয়-রোজগার না থাকায় অনেক ক্রেতাই গরু না কিনে ছাগল কিনে বাড়ি ফিরছেন। ফলে হাটে হচ্ছে না কাঙ্খিত কেনা-বেচা। বাকের নামে এক ক্রেতা বলেন, গরুর দাম মোটামুটি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তাই গরু কিনে বাড়ি ফিরছি।

এনজিও কর্মী আবু জাহের ও আলী বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর হাটে প্রচুর দেখা গেলেও এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো হাটেই ভারতীয় গরু দেখা যায়নি। এরপরও গরুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। হাটে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। গরুর দাম গত বছরের চেয়ে এবার একটু কম এমন কথা স্বীকার করে শশীভূষণ বাজারের ইজরাদার মোঃ কামাল হোসেন বলেন, করোনার কারণে বেচা-বিক্রি কম।

কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর