মানুষজন জানার ভয়ে প্রেমিকাকে মাঠে নিয়ে যায় আপন

১৫ জুলাই ২০২১

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা :

মানুষজন জেনে যাবে- ভয়ে তাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় আপন। এরপর চাকু দিয়ে গলা কাটে, চাকু ভেঙে গেলে রশিতে ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এভাবেই নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিজের প্রেমিকা উম্মে ফাতেমাকে হত্যা করে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক আপন। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম।

বুধবার বিকালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে ভাঙা বটতলার কাছে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে উম্মে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগে রাত দুইটার দিকে নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ভুক্তভোগী। রাতে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে সকালে (বুধবার) তার বাবা মিরপুর থানায় জিডি করেন। এদিকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আপনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার আগে প্রেমিকের বাড়ি চলে যায় ফাতেমা। সেখানে বিয়ের জন্য চাপ দেয় আপনকে। এ সময় তাকে বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করে আপন। কিন্ত বাড়ি ফিরতে রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। এরপরই মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় ভুক্তভোগীকে। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জব্দ করা হয়েছে আলামত। বিশেষ করে যে চাকু দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটিও জব্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, ছেলেটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে ছেলের পরিবার রাজি হয়নি। এ চাপের মধ্যেই ঘটনার আগে আপনের কাছে চলে যায় সে।

উম্মে ফাতেমা উপজেলার মরিপুর পৌরসভার ওয়াবদা পাড়া এলাকার খন্দকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে, মরিপুর বিজিবি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। আর আপন পৌরসভার কুরিপোল মহল্লার লিমনের ছেলে এবং আমলা সরকারী কলেজের ছাত্র।

মাহমুদ শরীফ/এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর