মাহমুদ শরীফ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া):
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাপদুর বড় জামে মসজিদে ১৬ জুলাই পুলিশি পাহারায় জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা। মসজিদটির কমিটি গঠন ও ইমামকে অপসারণকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই পক্ষের মুসল্লীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১২ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে পুলিশ প্রশাসন। এ ১২ জনের মধ্যে একজন পরিদর্শন ( তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ) ও একজন উপপরিদর্শক ছিলেন।
জানা যায়, অনেকদিন ধরেই মসজিদটিতে কমিটি গঠন ও ইমাম নিয়ে সঙ্কট চলছে। মসজিদটিতে দীর্ঘদিন ইমামতি করেন গ্রামটির বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। সম্প্রতি তাকে অপসারণ করা হয়। কিন্তু বিবাদমান অপর পক্ষ চাচ্ছে- তাকেই বহাল রাখার। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে থানায় দুই পক্ষ শালিসে বসে। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
দুই পক্ষের একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন যদুবয়রা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আকাশ রেজা ও স্থানীয় মেম্বর সাইদুল ইসলাম। অন্যটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন যদুবয়রা ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী মাস্টার।
মোহাম্মদ আলী মাস্টার বলেন, সম্প্রতি নানাবিধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় উভয়ের সম্মতিতে আবুল কালাম আজাদকে বাদ দেয়া হয়। একজন খতিবও নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষরা ব্যক্তিগত স্বার্থে আজাদকে বহাল রাখতে মরিয়া হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
সবুজ আলী বলেন, দীর্ঘদিন মসজিদে কোন কমিটি নেই। প্রতিপক্ষরা জমিদাতা দাবি করে মসজিদ পরিচালনা করে আসছে। মসজিদের আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব না থাকায় গত শুক্রবার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সভাপতি আমাদের পক্ষের হওয়ায় ইমাম নিয়ে ঝামেলা চলছে।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মসজিদের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা চলছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জুম'আর নামাজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে ।
মাহমুদ শরীফ/এমকে