গণপরিবহনে ঘরমুখো মানুষের চাপ

১৭ জুলাই ২০২১

কমে আসছে ঈদুল আজহার দিনের ব্যবধান। গণপরিবহন চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শর্তসাপেক্ষে শিথিল করায় গণপরিবহনের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে সড়কে, লঞ্চের ফ্যান ঘুরছে নৌপথে তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ঝুঁকি নিয়েই শহরে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করা মানুষ ফিরতে শুরু করেছে গ্রামে। এতে পথে যেমন গণপরিবহনের যেমন চাপ বাড়ছে, গণপরিহবনেও তেমনি বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। দিনের ব্যবধান যত কমে আসবে, ততোই বাড়তে থাকবে এ দুই চাপের মাত্রা।

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসের শুরু থেকেই পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবরহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। খুব বেশি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এমন বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বাত্বক বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। ঈদ ঘিরে বিধিনিষেধ ১৫-২৩ জুলাই মেয়াদে শিথিল করা হয়। শিথিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনেও মাস্ক ও করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।

এদিকে গণপরিবহনে সচেতন যাত্রীরা মুখে ঠিকঠাকভাবে মাস্ক পড়লেও বাকিরা কেউ সেটা করছে না, কেউবা মাস্ক-ই পরছেন না। আর ভীড়ের কারণে বজায় থাকছে না সামাজিক দুরত্বও। এতে করোনা সংক্রমণের বিস্তারের আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার নৌপথে ছিল ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দৌলতদিয়ায় ঘাট এলাকায় ছিল দীর্ঘ যানজট, শিমুলিয়া ও পাটুরিয়ায় ঘাটে ছিল যাত্রীদের চাপ। সংশ্লিষ্ট ঘাটে নদী পারাপারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। পশুবাহী ট্রাক ৬-১০ ঘণ্টায়ও ফেরির নাগাল পায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না লঞ্চে। মোট ধারণের ৫০ শতাংশ যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই সড়কে ছুটতে শুরু করেছে দুরপাল্লার বাস। আগের দিনের তুলনায় শুক্রবার যাত্রী চাপ কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। অন্যদিকে অনেকেই বাস কাউন্টারগুলোতে ভীড় করছেন আগাম টিকিট সংগ্রহে, ঈদের আগের দিনের টিকিটের চাহিদা বেশি বলে জানা গেছে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর