বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, পরিমাণে ৩৭ ডলার। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে এ আয়। ২৫৫৪ ডলার থেকে বেড়ে ২৫৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আয় বৃদ্ধির এ হিসাবটা ২০২০-২১ অর্থবছরের, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। এ আয় বৃদ্ধির কথা সাংবাদিকদের বলছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) একনেক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
বিবিএস’র বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, চুড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২৫৯১ মার্কিন ডলার ( স্থানীয় মুদ্রায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা), সাময়িক হিসাবে ছিলো ২৫৫৪ মার্কিন ডলার (২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৯ টাকা)। এ অর্থবছরে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৪১৬ বিলিয়ন ডলার। প্রাথমিক হিসাবে এটা ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বিবিএসের এ হিসাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে তুলে ধরা হয়, জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
এদিকে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। বেড়েছে রেমিটেন্স- ২৫ বিলিয়ন ডলার। এসব কারণেই অর্থনীতির আকার বেড়েছে, ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি। ওমিক্রনের সময়ও রপ্তানি আয়ের সঙ্গে বেড়েছে ব্যক্তি বিনিয়োগ। ব্যক্তি বিনিয়োগ ১৪ ও রেভিনিউ ১৪ শতাংশ বেড়েছে। এসব কারণে জিডিপির পরিমাণ বেড়েছে।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জিডিপির এমন অর্জনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, দেশের সব কৃষক, শ্রমিক, জনতা- সবার পরিশ্রম ও অংশগ্রহণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রতিবছর জিডিপি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন প্রকাশ করে বিবিএস। গত অর্থবছরের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সার্বিক বিবেচনায় কৃষি খাতে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। এর মধ্যে শস্য উপ-খাতে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, পশুপালন উপ-খাতে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বন উপ-খাতে ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং মৎস্য খাতে ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিদ্যুৎ খাতে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, নির্মাণ খাতে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ, শিল্প খাতে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যানবাহন খাতে ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, ব্যাংক ও বিমা খাতে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, শিক্ষা খাতে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ ও স্বাস্থ্য খাতে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
এমকে