গত মাস থেকেই করোনার সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। দৈনিক শনাক্তের হারের পারদ ১০ থেকে ৩০’র বেশি পর্যন্তও ওঠেছে, বেড়েছে মৃত্যুর হারও। টানা কয়েকদিন দুই শতাধিক করোনা রোগীর মৃত্যুও ঘটনা ঘটেছে।উদ্ভূত পরিস্থিতি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে শয্যা প্রায় শেষ হয়ে আসছে।আর দীর্ঘদিন ধরে করোনা রোগীদের টানা চিকিৎসা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ডাক্তাররাও। শয্যা সংক্রান্ত ও ডাক্তারদের ক্লান্ত হওয়ার খবর দিয়েছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে এ খবর দেন।অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন। বইটি লিখেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সংক্রমণের হার তিন-চারগুণ বেড়ে গেলে, ১০ থেকে ১৫ হাজার শয্যার বিপরীতে করোনা রোগী ৪০ হাজার হলে সবাইকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না। তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন এ বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নির্দেশনায় নতুন করে চার হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ হচ্ছে।
করোনার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সমালোচনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা সমালোচক, তারা চিকিৎসা দিচ্ছে না। চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতাল। কাজেই সমালোচনা না করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা করা উচিত। এ সময় সমালোচনার পরিবর্তে সংক্রমণ প্রতিরোধ সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সার্জনরা উপস্থিত ছিলেন।
এমকে