বাড়ির আঙিনা থেকেই লাখ টাকা আয় নড়াইলের বাবুলের!

১৮ জুলাই ২০২১


ফরহাদ খান, নড়াইল:

বাগানে আছে ফল ও সবজি, সঙ্গে নার্সারি। নিজের আঙিনায় গড়ে তোলা এ মিশ্র বাগান থেকে বাগান মালিক বাবুল হোসেন বছরে আয় করেন লাখ টাকার বেশি। বাবুল হোসেনের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার গোবিন্দনগর মহল্লায়। তার বাগান দেখে বাগান করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন স্থানীয় অনেকেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানটিতে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিভিন্ন জাতের মাল্টা, কমলা লেবু, আনারস, ড্রাগন, ডালিম, আম, পেয়ারা, আমড়া, কলা, পেঁপেসহ হরেক রকম দেশি-বিদেশি ফল। রয়েছে দুর্লভ ট্যাং ও স্ট্রবেরি ফল।সেই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি। কোনো ধরণের কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই, জৈব সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে এসব ফল ও শাক-সবজি উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন বলে জানান বাবুল হোসেন।


বাবুল হোসেন জানান, প্রথমদিকে বসতবাড়ির আঙিনায় ৬০ শতক জমিতে নার্সারির আবাদ শুরু করেন তিনি। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দুই বছর পর ২০১০ সালে নার্সারির মধ্যে শুরু করেন মিশ্র ফলবাগান।প্রায় আট মাস আগে আরো ৪০ শতক জমিতে আরেকটি মিশ্র ফলবাগান শুরু করেন। মোট এক একর জমিতে ১৩০ প্রজাতির ফলজ ও নার্সারির চারা রয়েছে তার। বাগান পরিচর্যায় তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নার্সারিসহ মিশ্র ফলবাগানের পরিধি আরো বাড়াবেন বলে জানান তিনি।


কালিয়া পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বলেন, বাবুল হোসেনের ব্যতিক্রমী ফলবাগান ও নার্সারি মুগ্ধ করবে সবাইকে। পতিত জমি বা বসতবাড়ির আশেপাশে যাদের বাগান করার সুযোগ রয়েছে, তাদের উচিত এ ধরণের মিশ্র ফলবাগান গড়ে তোলা।

কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, বাবুল হোসেনের মিশ্র ফলবাগানটি যেমন ব্যতিক্রম, তেমনি তাকে এনে দিয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। ব্যতিক্রমী এ বাগান দেখে অনুপ্রাণিত অন্যরাও। তার বাগানের পরিধি ও সমৃদ্ধি অর্জনে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।

 

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর