তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। আফ্রিকার এ দলটি নিজেদের মাটিতে হোয়াইট ওয়াশ কোনোভাবেই মেনে নিতে চায়নি। তাইতো অতিথিদের পরাজয়ের স্বাদ দিতে ২৯৮ রানের বড় পুঁজি গড়ে। তবে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তাদের সে আশায় বালি ঢেলে দেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৯৭ বলে ১১২ রান করেন তিনি। ৮ চার ও তিন ছয়ের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
মঙ্গলবার হারারেতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৯৯ রানের বড় লক্ষ ছুড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন তামিম ও লিটন দাস। এ জুটি থেকে আসে ৮৮ রান। ম্যাচের ১৪তম ওভারে ব্যাকওয়ার্ড অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। তিনি করেন ৩২ রান। ৩৭ বলে ৩ চারের মারে এ রান করেন তিনি।
লিটনের আউটের পর ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান। তিনি ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন। ৪২ বলে ১ চার ও ছয়ের মারে সাজান তার এ ইনিংস। দলের সংগ্রহ তখন ১৪৭।
ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে তখনও বীরদর্পে লড়ে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। ৩৫তম ওভারে দলীয় ২০৪ রানে ট্রিপানোর বলে আউট হন তামিম। এর আগে একদিনের ক্যারিয়ারে ১৪তম শতক পূর্ণ করেন এই হার্ড হিটার।
জয়ের জন্য বাকী রানগুলো তুলতে একটুও কষ্ট হয়নি টাইগারদের। তামিম-সাকিব-লিটনের পর মোহাম্মদ মিথুন ৩০, নুরুল হাসান অপরাজিত ৪৫ ও আফিফ হোসেন অপরাজিত ২৬ রান করেন। তবে এদিন প্রথম বলেই ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ।
ডোনাল্ড ট্রিপানো ও ওয়েসলে মাদেভেরে দুটি করে এবং লুকে জঙ্গে ১টি উইকেট নেন।
এরআগে ৪৯.৩ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে স্বাগতিকরা। চাকাভা ৮৪, মারুমানি ৮, টেইলর ২৮, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৩, রাজা ৫৭, বার্ল ৫৯, জঙ্গুয়ে ৪* টিরিপানো ০, চাতারা ১ ও মুজারাবানি ০ রান করেন।
মুস্তাফিজ ও সাইফ ৩টি, মাহমুদুল্লাহ ২টি এবং তাসকিন ও সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।
আরআই