চামড়ার দাম ব্যবসায়ীদের কব্জায়

২২ জুলাই ২০২১

এবার কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে কুট কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীরা। ফলে বিক্রেতারা সরকারের নির্ধারিত দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠেছে। আর গতবারের মতো এবারো এক ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে এ খাতে। গত দুই-তিন বছরের মতো আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে এ চামড়ার হকদার এতিম ও দুস্থরা।

কোরবানিরদাতাদের কাছে থেকে চামড়া কেনার কাজটি করেন মৌসুমি ব্যবসায়ী আর ফঁড়িয়ারা। সেই চামড়া আড়তদারদের হাত হয়ে যায় ট্যানারিতে। আর ট্যানারি মালিকদের জন্য চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত বছরের চেয়ে এ বছর চামড়ার দাম ৪-৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে প্রতি বর্গফুটে। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী গরু-মহিষের লবণযুক্ত চামড়া ঢাকায় ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, আর ঢাকার বাইরে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকায় প্রতি বর্গফুট কেনাবেচার কথা। আর সারাদেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকায় প্রতি বর্গফুট কেনাবেচার কথা। কিন্তু অভিযোগ ওঠেছে কেনাবেচা হচ্ছে তার চেয়ে কম দামে।

জানা গেছে, কুট কৌশলের অংশ হিসেবে ঈদের দিন দুপুর পর্যন্ত চামড়ার কাছে যায়নি সংশ্লিষ্টরা। ফলে চামড়ার কদর নেই মনে করে চামড়া এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দিয়ে দিয়েছেন কোরবানিদাতারা, অনেকেই নামমাত্র দামে বিক্রি করেছেন।

সচরাচর ফঁড়িয়া বা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চেয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানার কাছ থেকে সস্তায় চামড়া কেনা যায়।

এদিকে দাম নিয়ে খুব একটা অভিযোগ ছিল না কোরবানিদাতাদের। বেশিরভাগ কোরবানিদাতা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রায় বিনামূল্যে দিয়ে দেন চামড়া।

মৌসুমি ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, গত বছরও চামড়ার ভালো দাম পাননি তারা। এবার বাজার কিছুটা ভালো হলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়। সরকার চামড়ার দাম বাড়ালেও কৌশলে তাদের দাম দিচ্ছেন না আড়তদাররা।

আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা বলছেন, এবার প্রতি পিস চামড়া কিনতে গত বছরের চেয়ে অন্তত দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা বেশি লেগেছে তাদের। এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর