প্লাবিত ভোলার নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

২৪ জুলাই ২০২১

ভোলা প্রতিনিধি:

পূর্ণিমা ও নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার পানিতে ভোলার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, তলিয়ে গেছে উপকূলবর্তী অন্ততঃ ২০ টি দ্বীপচর। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ভেসে গেছে বিভিন্ন এলাকার অনেক পুকুর ও ঘেরের মাছ।

শনিবার দুপুরে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ায় পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। শুক্রবার ছিল ৬৫ সেন্টিমিটার ওপরে। তার আগে বৃহস্পতিবার ছিল ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে। এনিয়ে পর পর তিন দিন পানিতে প্লাবিত হলো এসব দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চল।

প্লাবিত ২০টি দ্বীপচরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- চরনিজাম, কলাতলীর চর, চর যতিন, চর জ্ঞান, কুকরি মুকরি, চরমনোহর, সিকদারেরচর, ঢালচর, চর পাতিলা, মাঝের চর, চর শাহজালাল ও কচুয়াখালীরচর চর।

কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন জানান, তিন দিন ধরে জোয়ারে কুকরি-মুকরি ও চরপাতিলার নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। অনেকে ঘরবাড়িতে রয়েছে পানিবন্দি। ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ সালাম হাওলাদার জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ পযর্ন্ত ঢালচরের সবকটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এত প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে ঘরবাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও পুকুর ঘের তলিয়ে গেছে। কচুয়াখালী এলাকার জসিম বলেন, অতি জোয়ারের পানির কারণে চর এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরে বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে । তিন দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ওঠেছে। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষকে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পূর্ণিমা ও নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর