দেশের মানুষকে যেন আর কখনও কারও দ্বারা নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত হতে না হয়, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে- সেই ব্যবস্থাটাই তার সরকার করে দিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এমনভাবে পরিকল্পনা করে দিতে চাই- যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাংলাদেশের এ উন্নয়নের গতিধারাটা ধরে রাখতে পারে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও কাউন্সিলদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন । ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
নাসিকের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ওয়াদা দিয়ে মানুষের কাছে ভোট নিয়েছেন, সেই ওয়াদা কখনও ভুলবেন না। মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। নিজের স্বার্থ না দেখে পরের স্বার্থে কাজ করা, জনগনের জন্য কতটুকু করতে পারলাম— সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। তিনি জানান, জনগনকে যতটুকু দিতে পারবেন, তাতেই আত্মতৃপ্তি, নিজের ভোগবিলাসে না। রাজনৈতিক নেতা হতে হলে জনকল্যাণে কাজ করতে হয়, নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হয়।
নিজের বসয় ৭৫ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে চিন্তা করতে হয়। কারণ আমারও বয়স হয়েছে, আর কতদিন বাঁচব। কিন্তু এমনভাবে দেশের কাঠামো করে দিয়ে যেতে চাই- যেন মানুষ উন্নত জীবন পায়, সুন্দর জীবন পায়।
তার সরকার একটানা ১৩ বছর ক্ষমতায় আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণে আজকে দেশের উন্নতি হচ্ছে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্াদা পেয়েছে। মাথাপিছু আয়সহ জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৩ বছর দেশের গণতান্ত্রিক ধারাও অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিএনপির সমালোচনা করেন। বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের ও জনগণের অধিকারের অর্থও বোঝে না। বোঝে সন্ত্রাস, দুর্নীতি আর জঙ্গিবাদ। এখন সেই সুযোগটা পাচ্ছে না বলেই বোধহয় তাদের বেশি আক্ষেপ। তারা আসলে নির্বাচনই চায় না, নির্বাচনের অর্থ বোঝে না। ভোট চুরি করতে জানে, কিন্তু জনগণের ভোট নিতে জানে না। জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকারে বিশ্বাস করে না। এটা হলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ কখনও ভুল করে না। জনগণ তার ভোট দিয়ে তার মনমতো প্রার্থী নির্বাচিত করবে- যে তাদের জন্য কাজ করবে। কে তাদের জন্য কাজ করবে- সেটা জনগণ নিজেরাই বেছে নিতে পারেন। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে। জনগণের ওপর আস্থা রেখেই আমরা আমাদের যত রকম কাজ করি- যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এমকে