তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে লড়াকু ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে টাইগাররা। রোববার হারারের স্পোর্ট ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ তাড়া করতে নেমে বেশি বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশের। ৫ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল সফরকারীরা। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। সেই সাথে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন সৌম্য সরকার। ৪৯ বলে ৯ চার ও এক ছয়ের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। এদিন ২টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। এছাড়া সিরিজ জুড়ে অনবদ্য খেলার জন্য সিরিজ সেরার মুকুটটিও উঠেছে তার মাথায়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে। মাধেভেরে ৫৪, মারুমানি ২৭, চাকাভা ৪৮, মায়ার্স ২৩, রাজা ০, বার্ল ২১ ও জঙ্গুয়ে ১ রান করেন।
সৌম্য সরকার ২টি এবং সাইফ, সাকিব ও শরিফুল ১টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ তাড়া করতে নেমে ২০ রানের মাথায় ওপেনার মোহাম্মদ নাইমকে ফেরায় জিম্বাবুয়ে। এরপর হাল ধরেন সৌম্য ও সাকিব। মুজারাবানির বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩০ গজে সহজ ক্যাচ তুলে দেন ৩ রান করা নাইম। ৮ম ওভরে সাকিবকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান জঙ্গওয়ে। জঙ্গওয়ের একই ওভারে পরপর দুটি ছক্কা হাকানোর পর লং অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মেয়ার্সের তালুবন্দী হন তিনি। ফেরার আগে ১৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
সাকিবের পর মাঠে নামেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। তাকে সাথে নিয়ে সামনে এগোতে থাকেন সৌম্য। ৪০ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতকের মাইলফলক স্পর্শ করেন সৌম্য। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট হন তিনি। জঙ্গওয়ের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৯ বলে ৬৮ রান করেন এই ওপেনার। মাহমুদুল্লাহ আউট হন দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে। তিনি ২৮ বলে ৩৪ রান করেন। ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেলে আফিফ ফেরেন ১৪ রানে। নুরুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে বাকী পথ সহজেই পাড়ি দেন শামীম পাটোয়ারি। দুজনে ম্যাচ শেষে অপরাজিত থাকেন ১ ও ৩১ রানে।
জিম্বাবুয়ের জঙ্গওয়ে ও ব্লেসিং মুজারাবানি দুটি এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।
স্কোরকার্ড :
জিম্বাবুয়ে : ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (মাধেভেরে ৫৪, মারুমানি ২৭, চাকাভা ৪৮, মায়ার্স ২৩, রাজা ০, বার্ল ২১, জঙ্গুয়ে ১; সাইফ ৪-০-৫০-১, তাসকিন ২-০-২৮-০, সাকিব ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৪-০-২৭-১, সৌম্য ৩-০-১৯-২, নাসুম ৩-০-৩৭-০)।
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৯৪/৫ (মাহমুদউল্লাহ ৩৪, মোহাম্মদ নাঈম ৩, সৌম্য ৬৮, সাকিব ২৫, আফিফ ১৪, শামীম ২১*, সোহান ১*; সিকান্দার ১-০-১৩-০, মুজারবানি ৪-০-২৭-২, চাতারা ৪-০-২৭-০, মাসাকাদজা ৩.২-০-৩৭-১, মায়ার্স ৪-০-৪২-০ ও জঙ্গুয়ে ৩-০-৪২-২)।
ফল : ৫ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ।
সিরিজ: ২-১ ব্যবধানে জয়ী বাংলাদেশ।