করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে, সংশ্লিষ্টদের মতে সেটা স্বাভাবিক পরিস্থিতির তুলনায় ৩০ শতাংশ। সঙ্কট না থাকলেও নানা কারণে এ অক্সিজেন সংগ্রহে বেশিরভাগ সময় হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বজনেরা।
এদিকে বাড়তি চাহিদা মেটাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভারত থেকে আনা হচ্ছে এ অক্সিজেন। তার আগে এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই মাসের আগে এতটা চাহিদা ছিল না। করোনার উর্ধ্বগতিতে এ চাহিদা বাড়ে। এ চাহিদা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে । রোগী বাড়লে চাহিদা এক রকম থাকে, কম থাকলে আরেক রকম হয় । তবে এ মুহূর্তে দেশে অক্সিজেনের কোনো সঙ্কট নেই বলে জানিয়েছে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশ এবং স্পেক্ট্রা অক্সিজেন লিমিটেড।
লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুফিয়া আক্তার ওহাব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত দু' দফায় ৪০০ টন অক্সিজেন আমদানি করেছেন তারা। রেলপথে শেষ চালান এসেছে ২৮ জুলাই, ভারতীয় রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে। ১০টি কনটেইনার আসে ২০০ টন অক্সিজেন। তার তিন দিন আগে ২৫ জুলাই প্রথম দফায় একই ট্রেনে আসে ২০০ টন অক্সিজেন। দেশে আসার পরে নানা প্রক্রিয়া শেষে সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা হয় এ অক্সিজেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, এখন চাহিদা সর্বোচ্চ ২০০-২২০ টন। কিন্তু করোনার রোগী বাড়তে থাকলে চাহিদা কেমন হবে- এখনো অনুমান করা যাচ্ছে না। লিন্ডে এবং স্পেক্ট্রা বর্তমানে ১৭০ টন পর্যন্ত সরবরাহ করছে। বাকি চাহিদা আপাতত অন্যান্য কোম্পানির মাধ্যমে মেটানো হচ্ছে। এ মুহূর্তে এ অক্সিজেনের সঙ্কট নেই। চাহিদা আরো বাড়লে দেশের ভারী শিল্প কারখানার প্ল্যান্টের মাধ্যমে সেটা মেটানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।
এমকে