ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ও পশ্চিমে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে পুতিন যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দিতে পারেন।
এদিকে নতুন করে বেলারুশের সঙ্গে ক্রেমলিনের সামরিক মহড়া নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে ইউক্রেন সরকারকে। বৃহস্পতিবার ১০ দিনের ওই মহড়া শুরু হচ্ছে। এ মহড়ার জন্য গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে সেখানে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে মস্কো।
ধারণা করা হচ্ছে, এ মহড়ায় ৩০ হাজার সেনা অংশ নেবে। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমানও নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দিকে আরো কিছু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে। ইউক্রেনে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, চেক ও স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের দুদিনব্যাপি এক বৈঠক চলছে।
বেলারুশে রাশিয়ার সামরিক মহড়া ইউক্রেন নিয়ে সংঘাতে ‘উত্তেজনা বাড়ানোর’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনের সাবেক কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক আলেকসান্দার খারা বলেন, রাশিয়া এ মহড়ার মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছে, ইউক্রেন দখল করে নেওয়ার সক্ষমতা তাদের রয়েছে। এটাকে গুরুত্বের সঙ্গেই নেওয়া উচিত।