বেকায়দায় ঈদে গ্রামে যাওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকেরা

৩১ জুলাই ২০২১

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গার্মেন্টসহ রফতানিমূখী সব শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে আগামীকাল রোববার। এতে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছেন ঈদে গ্রামে যাওয়া এসব কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক। কারণ বিধিনিষেধের মেয়াদে গণপরিহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকার কথায় ঈদ উদযাপনে গ্রামে যান তারা। শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শুক্রবার জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী ৫ আগষ্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রজ্ঞাপন জারির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরেই কর্মস্থলে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন স্বল্প আয়ের এসব শ্রমিকরা। যে যেভাবে পারছেন, কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টা করছেন। পথে চার চাকার গণপরিবহণ না থাকায় বেছে নিচ্ছেন তিন চাকার স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহন। এসব যানবাহন আন্তঃজেলায় চলাচল করে না। ফলে ভোগান্তির সঙ্গে বাড়ছে তাদের খরচের খাত। এরপরও স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা গুনতে চাইলেও মিলছে না বাহন। যদিও গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানিয়েছেন, কারখানার আশেপাশে থাকা শ্রমিক দিয়েই কারখানা খোলা হবে। কারণ গ্রামে যাওয়া সব শ্রমিকের পহেলা আগষ্টে কাজে যোগ দেয়া সম্ভব হবে না। আর বেসরকারি এক টেলিভিশনের নিয়মিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ৫ আগষ্টের আগে কারখানায় কাজে যোগ দেয়া শ্রমিকদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তাই শ্রমিকদের চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। তারপরও করোনার এ সময়ে চাকরি হারানোর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না গ্রামে যাওয়া শ্রমিকেরা, তাড়াহুড়া করছেন কর্মস্থলে ফিরতে।

এদিকে এ তাড়াহুড়ার কারণে ফেরিঘাটে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। গাদাগাদি আর ঠেলাঠেলি করেই পার হচ্ছেন ফেরি। স্থানীয় তিন চাকার যানবাহনে চলাচলেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরুত্ব। ফলে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর