সবচেয়ে কম সময়ে বেশি লাফিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন রাসেল

৩১ জুলাই ২০২১

মাত্র ৩০ সেকেন্ড ১৪৫ ও মিনিটে ২৫৮ বার দড়ি লাফিয়ে (স্কিপিং রোপ) গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদ হাতে পেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সন্তান রাসেল ইসলাম। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে ২১ বয়সী রাসেলকে এক নজর দেখতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন আসছেন তার বাড়িতে। এখন বিভিন্ন বয়সের ও শ্রেণী পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। সনদ পাওয়ার আগে ২০১৯ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন রাসেল ইসলাম। তারও আগে ২০১৭ সাল থেকে এ লাফের চর্চা শুরু করেন নিয়মিত। যদিও ছোটবেলা থেকেই এ নিয়ে তার আগ্রহের কমতি ছিল না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিরজাপাড়া গ্রামে রাসেল ইসলামের বাড়ি। বজলুর রহমান হলেন তারা বাবা। পড়ালেখা করছেন শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে। বৃহস্পতিবার অনলাইন থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদপত্র পান তিনি।

রাসেল নিয়মিত চর্চাটা করতেন বাসার আশপাশে, বিভিন্ন সড়কের ধারে। যখন যেখানে সময় পেয়েছেন, তখনই সেখানেই। এর মধ্যে নিজেকে এ খেলায় পরিপূর্ণ মনে হলে আবেদনটি করেন । গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সংশ্লিষ্টদের কাছে স্কিপিং রোপের ওপর দু'টি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। একটি ৩০ সেকেন্ডের আর অন্যটি ১ মিনিটের। রাসেলের আগে এক পায়ে ৩০ সেকেন্ড ১৪৪ বার ও ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৬ বার লাফানোর লাফানোর বিশ্ব রেকর্ড ছিল।

বজলুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই একটি দড়ি নিয়ে লাফাতো রাসেল। জিজ্ঞাসা করলে বলতো- আমি একদিন এ খেলা দিয়েই তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করবো। এখন সবার মুখেই আমার ছেলের নাম।

রাসেল ইসলাম জানান, স্কিপিং রোপ আমার ছোটবেলার স্বপ্ন। ইন্টারনেটে এর ওপর ভিডিও দেখতাম। এ রোপে কতবারে বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে তা নজরে রাখতাম। ওই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করার স্বপ্ন দেখতাম। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত চর্চা করতাম। তিনি জানান, আবেদন করার পরে আমাকে তিন মাস পরে কিছু গাইডলাইনসহ একটি রিপ্লাই দেয়া হতো। সেখানে নিয়ম মতো কিছু ভিডিও চাওয়া হয় আমাকে। কীভাবে সেগুলো করবো, তারও বিস্তারিত দেয়া হয়। এর কিছুদিন আরো মনোযোগ দিয়ে সেই কাজগুলো করে পাঠিয়ে দেই। এরপর আমাকে এ সনদ দেয়া হয়।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর