ইলিশা ফেরিঘাটে মানুষের ঢল

৩১ জুলাই ২০২১

কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা:

গার্মেন্টসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় শনিবার সকাল থেকেই ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ইলিশা ফেরিঘাট ও ফেরিতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। ঈদে গ্রামে যাওয়া এসব কারখানার কর্মীদের একটা অংশ এ ঘাট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন। এতে ফেরিঘাট ও ফেরি রূপ নিয়েছে জনস্রোতে। ফেরি ও ফেরিঘাটে সামাজিক দুরত্বের বালাই না থাকায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত বিস্তারের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১আগস্ট) থেকে এসব কারখানা খুলছে। ঈদের ছুটি শেষ হলেও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এসব কারখানা আজ শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ফেরিঘাট থেকে কৃষ্ণানী, কনকচাঁপা ও কুসুমকলি নামে তিনটি ফেরি ছেড়ে যায়। প্রতিটি ফেরিতেই ছিল জনস্রোত। স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোলার ৭ উপজেলা থেকে কর্মস্থলমুখী হাজারো যাত্রী ছোট-বড় ব্যাগ নিয়ে ফেরিঘাটে এসে অপেক্ষা করছেন পারাপারের জন্য। ঘাটে ভেরানোমাত্র রীতিমতো প্রতিযোগিতা করেই ওঠছেন ফেরিতে। যাত্রীদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামীর সংখ্যাই বেশি।

ঢাকাগামী যাত্রী আসমা বেগম জানান, পোশাক কারখানায় চাকরি করে সংসার চালাতে হয়। তাই গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খোলার খবর পেয়েই তারা রওনা দিয়েছেন। ১ আগস্ট কাজে যোগদান না দিতে পারলে চাকরি থাকবে না। চট্রগ্রামগামী যাত্রী আনজরা বেগম বলেন, চাকরি না থাকলে কেমনে চলবো। শনিবার সকালে এ ফেরিঘাটে পৌঁছলেও অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষার পর ফেরিতে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন। তার মতো অনেকই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা পর ফেরিতে ওঠেন। আরেক যাত্রী মো. আাব্বাস জানান, কর্মস্থলে যোগ দিতে পরিবার নিয়ে রওনা হলেও কীভাবে ঢাকায় পৌঁছাবো তা বুঝতে পারছি না। তিনি বলেন, চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটে বা নদী সাঁতরিয়ে হলেও পার হয়ে যেতেই হবে কর্মস্থলে। না হলে চাকরি থাকবে না। আয়শা বেগম নামের এক গার্মেন্টস কর্মী জানান, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পুরুষ যাত্রীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেই লাফ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে হয়েছে। এতো মানুষের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো সুযোগই নেই।

এদিকে শনিবার সকাল থেকেই এ ফেরিঘাটে পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন।কিন্তু যাত্রীদের কোনোভাবেই তারা বাধা দিয়ে রাখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ইলিশা নৌ থানার ওসি মো. শাহ জালাল।

কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর