বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সদর উপজেলার ফাঁপোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গাউছুলসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় গাউছুলের কাছে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার গভীর রাতে বগুড়া সদরের ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব দুয়ারী প্রধান ফটকের সামনে ও রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার ছোট হাজিরপুর ফকিরগঞ্জ গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
বাকি গ্রেফতাররা হচ্ছে- মেহেদী হাসান, আরিফুর রহমান, আলী হাসান, ফজলে রাব্বী, আ. আহাদ ও রমজান। তারা সবাই এ মামলার আসামি। তাদেরকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফকিরগঞ্জ গ্রাম থেকে গাউছুল ছাড়া বাকি ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাউছুল আজমকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়া র্যাব-১২ এর ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন তারা। তাদের এ কর্মকাণ্ডে বাধা দিতেন রকি। এ নিয়ে রকির সঙ্গে তাদের বিরোধ দেখা দেয়। এ ছাড়াও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রকি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। রকি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হবে। এ সব বিষয় নিয়ে রকিকে হত্যার পরিকল্পপনা করেন গাউছুল।
প্রসঙ্গত, ২৭ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফাঁপোর খেলার মাঠ সংলগ্ন একটি দোকানে গল্প করার সময় রকিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ে ও মাথায় কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার পরের দিন রকির ভাই রুকু সদর থানায় ২২ জনের নামে মামলা করেন। মামলায় গাউসুলের নেতৃত্বে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়।
দীপক কুমার সরকার/এমকে