আবাসন প্রকল্পে ঘর ১৮০, বসবাস ৪০ পরিবারের

০১ অগাস্ট ২০২১

মাহমুদ শরীফ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া):

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলো। ফলে বরাদ্দ পাওয়া পরিবারের লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা, সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে প্রকল্পের উদ্দেশ্যে। প্রকল্পটির আওতায় ৪ আবাসন মিলে ১৮০টি ঘর থাকলেও বর্তমানে বসবাস করছে মাত্র ৪০টি পরিবার। এ পরিবারগুলোও সুখে নেই, প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি। ২০০৭ সালে লালন আবাসন-১ ও ২, পৌর আবাসন, নন্দলালপুর আবাসন মিলে এ ৪টি আবাসন নির্মাণ করা হয়।

আবাসনের অধিকাংশ ঘর ভেঙ্গে পড়েছে, নেই যাতায়াতের ব্যবস্থা। আবাসনের চারপাশে জঙ্গল। বহিরাগতদের আনাগোনায় বসবাসরত পরিবারগুলো সন্ধ্যার পর থাকে ভয়ে। আছে পানি সঙ্কট।

আবাসনের বাসিন্দাদের একজন রবি হোসেন (৪০) বলেন, বৃষ্টির দিনে মাঠের চেয়ে আমার ঘরে পানি বেশি ওঠে। পলিথিন টাঙিয়েও বৃষ্টি ঠেকানো যায় না। চা বিক্রেতা নার্গিস (৪০) ২০/৫ নম্বর ঘরে থাকেন। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে চালার টিন বদল করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে টিনের যত জায়গা থেকে পানি পড়বে, সেই পানি ধরার জন্য ততটি হাড়ি পাতিলও ঘরে নেই। ২১/৫ নম্বর ঘরে থাকেন নুপুর বেগম। আবাসনে ঘুরে ঘুরে শাড়ি-কাপড় বিক্রি করে সংসার চালান। তার ঘরের চালা দিয়ে আকাশ দেখা যায়। তিনি বলেন, গত বর্ষায় অন্য জায়গা গিয়ে থেকেছি। টিনের যে অবস্থা, তার চেয়ে ঘরের বেড়ার অবস্থা আরো খারাপ। যখন তখন ঘরের ভেতর সাপ ঢুকে পড়ে।

আবাসন প্রকল্প-২’র সভাপতি ওহাব বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আমাদের শহরে গিয়ে উঠতে হয়। এসব সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। অনেক সময় বিভিন্ন কর্মকর্তা পরিদর্শনে এসে সংস্কারের কথা বলে চলে যান। তিনি জানান, বসবাসকারীদের একটাই দাবি- নতুন টিনের চালা তৈরি এবং টয়লেট ও গোসলখানা সংস্কার করে ব্যারাকগুলো বসবাসের উপযোগী করা।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, যত দ্রুত সম্ভব আবাসনের ঘরগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।

 

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর