চলমান কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) ৫ আগষ্ট শেষ হচ্ছে না, ৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।সেই সঙ্গে বর্ধিত নতুন কিছু শর্ত প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে মঙ্গলবার সরকারের নীতিনির্ধারকদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ আগস্ট পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ থাকবে। সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সভাপতিত্ব করেন।
সচিবালয়ে সভা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট ও অফিস-আদালত খুলে দেয়া হবে, সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলবে। এর আগেই সব কর্মজীবী মানুষকে করোনার টিকা নিতে হবে।৭-১০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১৪ হাজার কেন্দ্রে ১ কোটি কর্মজীবী মানুষকে টিকা দেয়া হবে। টিকা না নিয়ে কর্মস্থলে যেতে পারবেন না কোনো কর্মজীবী, দোকান খুলতে পারবেন না দোকানদার, গাড়ি চালাতে পারবেন না চালক। টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব কর্মজীবীরা অগ্রাধিকার পাবেন। তিনি বলেন, ১১ আগস্টের পর টিকা ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত জুনে মাসে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকা করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পহেলা জুলাই থেকে সারাদেশে এ বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। ঈদুল আযহা উপলক্ষে আট দিনের জন্য শিথিল করলেও ২৩ জুলাই থেকে ফের এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ৫ আগস্ট পর্যন্ত এ বিধিনিষেধের মেয়াদ রয়েছে। তার আগেই এ ৫ দিন মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলো।
এমকে