প্রাণঘাতি করোনার সঙ্গেই যেন পাল্লা দিয়েছে আরেক ব্যাধি ডেঙ্গু।ক্রমশঃ শনাক্তের তালিকা লম্বা হওয়ায় রোগটি মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরবাসীসহ সংশ্লিষ্টদের। নিয়ন্ত্রণে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহের দিকে রূপ নিতে পারে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক রূপ নেয়ার কথা জানিয়েছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বুধবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কথা তোলেন অধিদফতরটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম । কয়েক বছর ধরেই বর্ষাকালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক রূপ নিয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু মহামারির আক্রান্ত দেখেছি আমরা। ২০২১ সালে একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সেটি মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করেন ডা. নাজমুল ইসলাম।
চলতি বছরের ও সবশেষ ২৪ ঘণ্টার ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, ৩ আগস্ট সকাল ৮টার পর্যন্ত ২৪৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে ১৬ জন রয়েছে। একই সময় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১ হাজার ৭২ রোগী ভর্তি হণ। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ২৫ জন, বাকিরা ঢাকার বাইরে, অন্যান্য বিভাগে। তিনি জানান, ৩ আগস্ট পর্যন্ত তিন হাজার ৪৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৩৭০ জন।
এদিকে পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লাভা বিনষ্টে তৎপরতা বাড়িয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনই। জনসচেতনতা বাড়াতে দুই মেয়র রয়েছেন মাঠে। আবাসনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পানি জমে থাকায় জরিমানাসহ সতর্ক করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জনগণ সচেতন না হলে কোটির বেশি জনবসতির এ নগরে এডিস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও দুরূহ বলে মনে করছেন সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টরা।এডিসের বংশ বিস্তারের সুযোগ রোধে আবাসনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় কোনোভাবেই পানি জমতে না দেয়া, জমানো পানিসহ লাভা দ্রুত ধ্বংসের পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমকে