অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে র্যাঙ্কিয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা দল বাংলাদেশ। তাই তো টাইগারদের অনেকটা অবজ্ঞার চোখে দেখে তারা। তবে সিরিজ হেরে তার উচিত জবাবও পেয়েছে অজিরা। হ্যাট্রিক হারের পর শনিবার সিরিজের ৪র্থ ম্যাচে জয়ের দেখা পেল দলটি।
জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৫। এই রান তাড়া করতেই টাইগারদের বোলিং তোপে নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে তাদের। শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩ রানের মাথায় অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে ফেরান মেহেদী হাসান। বেশ চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দেখে-শুনেই ব্যাট চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু সাকিবের এক ওভারেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। ওই ওভারে ৫ ছক্কা হাকায় অজি ব্যাটসম্যান ক্রিস্টিয়ান।
ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছিল ক্রিস্টিয়ান। তাকে ফেরান অভিজ্ঞ কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। মুস্তাফিজের কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে যান ক্রিস্টিয়ান। তবে ব্যাটে-বলে হয়নি। দ্বিতীয় বলে খানিকটা জায়গা বানিয়ে সজোরে ব্যাট চালান। বল যায় সোজা পয়েন্টে। সেখানে থাকা শামীম হোসেন ক্যাচ লুফে নেন। ১৫ বলয় ৩৯ করে ফেরেন তিনি।
ক্রিস্টিয়ান ফেরার পর রান আউটে কাটা পড়েন হেনরিকেস। আবারও ফিজের কাটারে ধরা পড়েন অ্যালেক্স ক্যারি। দুর্দান্ত এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে ক্যারিকে ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর মেহেদী মিচেল মার্শকে আউট করলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেও স্বল্প পুঁজিতে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা।
স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১০৪/৯ (সৌম্য ৮, নাঈম ২৬, সাকিব ১৫, মাহমুদউল্লাহ ০, আফিফ ২১, সোহান ২১, শামীম ৩ , মেহেদী ২৩, শরিফুল ইসলাম ০, নাসুম ২; হেইজেলউড ৪-০-২৪-২, সোয়েপসন ৪-০-১২-৩, টানার ৪-০-২২-০, অ্যাগার ৪-০-২২-১, টাই ৩-০-১৮-৩, হেনরিকেস ১-০-৫-০)।
অস্ট্রেলিয়া : ১৯ ওভারে ১০৫/৭ (ম্যাকডারমট ৫, অ্যালেক্স , মার্শ ১১,হেনরিকেস ৪, ম্যাথু ওয়েড ২ ,টার্নার ৭, অ্যাগার ২৭, ক্রিস্টিয়ান ৩৯, সাকিব ৪-০-৫০-০, মুস্তাফিজ ৪-১-৯-২, মেহেদী ৪-০-১৭-২, নাসুম ৪-০-১৭-১, শরিফুল ২-০-৮-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৩-০)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।