দেশজুড়ে ৭ আগষ্ট থেকে শুরু হওয়া করোনার গণটিকা কার্যক্রম চলাকালে টিকাদান কেন্দ্রে (ক্যাম্প) করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চেষ্টা করেও মানানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
দেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে এ টিকা দেয়া হচ্ছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে এ কার্যক্রমে। এ কার্যক্রমে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারীকে সহযোগিতা করছেন ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী। শুরুর দিন থেকেই গাদাগাদি ও ঠেলাঠেলি করে লাইনে দাঁড়িয়ে এ টিকা নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণটিকাদান অভিযান গণ-সংক্রমণ অভিযানে পরিণত হয়েছে।পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ না করেই গণটিকার নামে গণতামাশা শুরু করেছে সরকার । চরম অব্যবস্থাপনা এবং দলীয়করণের কারণে এটা গণ-সংক্রমণ অভিযানে পরিণত হয়েছে। এ সময় ‘সার্বজনীন’ টিকাদানের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মনে করছেন, গণটিকাদান সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বারবার পরিবর্তন করায় কর্মসূচিটি শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, এ কার্যক্রম দুই দিনেই গণবিশৃঙ্খলা ও গণহতাশা তৈরি করেছে। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও কোথাও এক ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দেখা গেছে। সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ না থাকাটাই গণবিশৃঙ্খলা তৈরির কারণ। রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব ও বাকিরা গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এসব অভিযোগ করেন।
এমকে